একদিনের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা পুঁজি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারের দরপতন অব্যাহত আছে কয়েক মাস ধরেই। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে দরপতনের মাত্রা বেড়েছে। শেষ ১১ দিনের মধ্যে ৯ দিনই দরপতন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনকারী কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২৭৩টির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার।
রবিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৯৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে। আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ২৭ পয়েন্ট। মানে গত ৩১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে সূচক।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে পরপতনের জন্য কারসাজি চক্রকে দায়ী করা হচ্ছে। তারা বলছে, ২০১০ ও ১৯৯৬ সালে যে চক্র শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সরিয়েছে, তারাই আবার বাজারে সক্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দরপতনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। আস্থাহীনতাই দরপতনের বড়ো কারণ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের ঘোষণার পরে আর্থিক খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এটির প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। এছাড়াও ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট এবং খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণেও পুঁজিবাজারে বড়ো ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মাধ্যমে শেয়ারের দর বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রবিবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৯৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ৫০৩৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট, ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৩০ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১৭৯৯ দশমিক ৪২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ১১৫৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির। আর কমেছে ২৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার।
আনন্দবাজার/বিকে