শতভাগ শেষ হলো পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলার বসানোর কাজ। সেতুর ২৬ নম্বর পিলারটির কংক্রিটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে সব পিলারের নির্মাণ কাজ। করোনার আতঙ্কের মধ্যেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে এ কাজ শেষ করা হয়। সব পিলারের কাজ শেষ করাকে পদ্মা সেতুর ইতিহাসে অন্যতম অর্জন বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির।
বালা যায় বেশিরভাগ অংশই দৃশ্যমান এখন দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর। কাজের বর্তমান অবস্থা আশা জাগানিয়া হলেও বেশ কষ্টসাধ্য ছিল শুরুটা। ২০১৫ সালে শুরুর পর কাজের অগ্রগতি হোঁচট খায় নকশা জটিলতার কারণে। ২২টি পিলারের নিচে মাটির গঠনগত জটিলতা দেখা দিলেও আশা ছাড়েন নি প্রকল্পের প্রকৌশলীরা। দেশি বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত দেড়বছর পর নতুন নকশায় শুরু হয় জটিলতায় থাকা বাকি পিলারগুলোর কাজ। সে কাজও শেষ হলো অবেশেষে।
এর আগে পরিকল্পনা ছিলো, এপ্রিল মাসেই সব পিলারের কাজ শেষ করা হবে। প্রকৌশলগত পিপিই’র পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত পিপিই ব্যবহার করে আগেই নিশ্চিত করা হয় কর্মীদের সুরক্ষা। গত ১৭ মার্চ শেষ করা হয়েছিলো ৪১তম পিলারটির কাজ। এক সাথে সব পিলারের নকশা সমাধান হলেও ধারাবাহিকতা রক্ষায় একটির পর একটির কাজ শেষ করা হয়।
পদ্মা বহুমুখী সেতু’র প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ২২টি পিলারের কাজ একই পদ্ধতিতে করেছি। বেশির ভাগ পিলারের সমাধান এক সিস্টেমেই এসেছে।
এর ফলে মূল সেতুর ৪২টি, সড়ক থেকে সেতুতে উঠার ৮৯টি এবং রেল লাইনের ১৪টি, সব মিলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ১৪৫টি পিলারের সবগুলোর নির্মাণ কাজই শেষ হলো।
আনন্দবাজার/শহক