ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় সারাদেশে ৮৭ শতাংশ শিল্প-কারখানা বন্ধ

বাংলাদেশের শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঢাকার পার্শ্ববর্তী আশুলিয়া। বস্ত্র-পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, ফার্নিচার, প্লাস্টিকসহ সব মিলিয়ে আশুলিয়া এলাকায় শিল্প-কারখানা আছে প্রায় ১ হাজার ৩৫৬টি। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্কে ১ হাজার ২৯৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সচল রয়েছে ৬১টি কারখানা।

সারাদেশে শিল্প অধ্যুষিত এলাকা আছে মোট ছয়টি। সকল খাত মিলিয়ে এ এলাকাগুলোতে শিল্প-কারখানা রয়েছে ৭ হাজার ৪০৮টি। রবিবার (২৯ মার্চ) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, এর মধ্যে ৬ হাজার ৪২৩টি বা ৮৭ শতাংশ শিল্প-কারখানাই বন্ধ ছিল। সচল ছিল ৯৮৫টি।

করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও কাজের সংকট এ দুই কারণেই শিল্প-কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে যেসব কারখানা চালু আছে, সেগুলোর কাজ আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, আশুলিয়ায় মোট ১ হাজার ৩৫৬টি কারখানার মধ্যে বস্ত্র ও পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর সদস্য কারখানার সংখ্যা আছে ৫২৭টি, যার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৫০১টি।

গাজীপুরে মোট কলকারখানা রয়েছে ২ হাজার ৭২টি। যেখানে বন্ধ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৬টি। অত্র এলাকায় বস্ত্র ও পোশাক খাতের সংগঠনগুলোর সদস্য কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৮৫টি। এসব কারখানার মধ্যে এখন বন্ধ আছে ৮৯৪টি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামে মোট শিল্প-কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৩৫টি। যেখানে বন্ধ আছে ৮৭৫টি। এখানে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সদস্য বস্ত্র ও পোশাক খাতের কারখানা রয়েছে ৪৩১টি। তার মধ্যে গতকাল বন্ধ ছিল ৩৯৮টি।

নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে মোট শিল্প-কারখানা আছে ২ হাজার ৪৫৯টি। এরই মধ্যে বন্ধ রয়েছে ২ হাজার ৩৩১টি। এখানে বস্ত্র ও পোশাক কারখানা আছে মোট ১ হাজার ২৪২টি। যার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১ হাজার ১৯৫টি।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন