তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৮৯টি কারখানার প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ।
গত রবিবার (২২ মার্চ) রাতে বিজিএমইএর সভাপতি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় গণমাধ্যমকে তিনি একথা জানান।
তিনি জানান, আমাদের ভয়াবহ অবস্থা চলছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতারা সব ধরনের ক্রয়াদেশ স্থগিত করছে। স্থগিত বললেও আসলে আমাদের জন্য এটি স্থগিত নয় বাতিল।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ মার্চ পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের ১ হাজার ৮৯টি কারখানার ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে। বাতিল করা হয়েছে ৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২টি পোশাকের কার্যাদেশ। যার আর্থিক পরিমাণ দাড়ায় ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)। যেখানে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
বিজিএমইএর সভাপতি আরও জানান, বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। একের পর এক পোশাক কারখানার ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে এ খাত ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়বে।
কঠিন এ সংকটময় মুহূর্তে বায়ারদের ক্রয়াদেশ স্থগিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক মালিকরা। পাশাপাশি সংকট উত্তোরণে সরকারের কাছে দ্রুত অর্থায়নে জন্য বিশেষ তহবিল গঠনসহ নগদ প্রণোদনা দাবি পোশাক উদ্যোক্তাদের।
আনন্দবাজার/তা.তা