দেশে চলছে এখন করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। চকবাজার রাজধানীর ব্যস্তময় একটি বাজার। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এরই মধ্যে জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে চকবাজার। কর্মব্যস্ততার সেই হাঁকডাক আর প্রাণচাঞ্চল্যতা একেবারে নেই বললেই চলে।
করোনায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে কমে গেছে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়। তাছাড়া পণ্য সংকটের কারণে মূল্য বাড়তে থাকায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কেনাকাটাও কমে গেছে। আর বি টাওয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কাউছার আলম জানান, এখন বাজারে চলছে মন্দা অবস্থা। প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার টাকার মাল বিক্রি হতো। অথচ করোনায় এখন ১০-১৫ হাজার টাকাও হচ্ছে না। তাই এখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই ভেবেছিলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিক্রি হয়ত অনেক বেড়ে যাবে। কিন্তু তাদের সেই ভাবনায় থাবা দিয়েছে করোনা ভাইরাস।
এই ব্যাপারে আক্ষেপের সাথে এক বিক্রেতা জানান, ভাই, বিগত বিশ বছরেও চকবাজারের ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কখনো ডাকাডাকি করে দোকানে টানেনি। এমনিতেই খুচরা ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাদের ভিড়ে দোকান সামলানো দায় হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ মনিহারি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মূল্য বাড়তি। এ ছাড়া এ আতঙ্কের কারণে মানুষজনও কম বের হচ্ছেন। তাই ক্রেতাও কম। যার ফলে বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে।
কিন্তু আমাদের দেশে যদি করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তবে ব্যবসার কি দশা হবে, বলা মুশকিল।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে