দেশে চলছে এখন করোনা আতঙ্ক। এরই মধ্যে হঠাৎ চালের মূল্য বেড়ে গেছে রাজধানীতে। এছাড়া কিছু বাড়তি কেনাকাটায় অতিরিক্ত মুনাফা তুলছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যবসায়ীরা চালের মূল্য কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।
তবে সংশ্নিষ্টরা মনে করছেন ক্রেতাদের বাড়তি কেনার প্রবণতা কোনোটিই যৌক্তিক নয় বলে মনে করছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও দামের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এই ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন জানান, দেশে হঠাৎ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে, ক্রেতাদের পণ্য কিনে মজুদ করতে হবে। এছাড়া রমজান পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে সব ধরনের পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি এখনও। কিন্তু এর পরও কোনো ব্যবসায়ী বা ক্রেতা বাজারে সংকট তৈরির চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাল বিক্রেতারা দাবি করছেন, হঠাৎ করে ভোক্তারা অতিরিক্ত চাল কিনে মজুদ করছেন। এর ফলে পাইকারি বাজারে বাড়তি চাহিদায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এটা স্থায়ী হবে না। তবে বাজারে চাহিদা কমে গেলে মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে