শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থগিত হতে পারে রপ্তানি আদেশ

সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রভাবে কমছে ভোগ ব্যয়। বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে। কিন্তু ইউরোপের অনেক দেশে মানুষের চলাচল সীমিত হওয়ায় কমে গেছে সেখানকার বিক্রি। তাই অনেক শহরেই গার্মেন্টস পণ্যের স্টোর সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।

বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক জানান, ইতোমধ্যে অন্তত ২০ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এমন সিদ্ধান্তের তথ্য রপ্তানিকারকরা তাকে অবহিত করেছেন। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে রপ্তানিকারকদের জন্য বড়ো ধরনের সংকটের আশঙ্কার রয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে শুরুর দিকে আমদানি কমে গেলেও এবার রপ্তানিও কমতে শুরু করেছে, যার জন্য সমস্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় রাজস্ব আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও সংকট তৈরি হতে পারে।

করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ইউরোপের দেশগুলো ধীরে ধীরে আরো সতর্ক হয়ে যাবে। এর ফলে সেখানে বিক্রি আরো কমতে থাকবে। ইতোমধ্যে ইউরোপের অন্যতম বড়ো অর্থনীতির দেশ ইতালি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।  ধীরে ধীরে একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে অন্য দেশগুলোতেও।

পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, আমাদের রপ্তানির প্রধান দুটি বাজার ইউরোপ ও আমেরিকা, আর সেখানে এখন করোনার থাবা। শুরুতে কাঁচামাল, এক্সেসরিজের সরবরাহে সমস্যা হওয়ার পর এখন অন্য অন্য পণ্যের চাহিদা কমছে। এটি দ্বিগুণ সংকট। এর আগে কখনোই এমন দ্বিমুখী সংকটময় পরিস্থিতি হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  উখিয়া-টেকনাফে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন