মঙ্গলবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুমকিতে জনশক্তি রপ্তানি

করোনার প্রভাবে হুমকিতে পড়েছে দেশের জনশক্তি রপ্তানি।এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ আক্রান্ত দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছে শ্রম্বাজার।

দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানি কিন্তু ইতোমধ্যে কাতার ও কুয়েতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সঙ্কটে পড়েছেন ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসীরা। আবার অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়ার শঙ্কায় আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রেমিটেন্সে ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।

মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার যথাক্রমে সৌদি আরব এর পরের অবস্থানে আছে  ওমান, কাতার, জর্ডান ও কুয়েত। ভালো বেতনের কারণে নতুন বাজার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিঙ্গাপুরও। এসব দেশে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ায় অনেকে অংশে কমে গেছে কর্মী পাঠানো। এরমধ্যে বাংলাদেশসহ আক্রান্ত কয়েকটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় কাতার ও কুয়েতে কর্মী যাওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।

এইদিকে  মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে সৌদি আরবও একই সিদ্ধান্ত নিলে জনশক্তি রপ্তানিতে ধস নামবে বলে আশঙ্কা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর। সেই সঙ্গে দেশ হারাবে মূল্যবান রেমিটেন্সও।

এ অবস্থায় জনশক্তি রপ্তানি সচল রাখতে দেশগুলোর চাহিদা অনুযায়ী প্রবাসীদের করোনা ভাইরাসমুক্ত সনদ দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার বা সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার দাবি জানাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ছুটিতে দেশে আসা অনেক কাতার ও কুয়েত প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ শেষ দিকে হওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন তারা।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানায় তারা।

আরও পড়ুনঃ  মালয়েশিয়ায় খুলে গেল শ্রমবাজার

বায়রার নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন,যা লোকসান হওয়ার হয়েগেছে।তবে আমরা শঙ্কায় আছি সৌদি সরকার ফ্লাইট বন্ধ করে দিলে আমদের হাজার হাজার ভিসা নষ্ট হয়ে যাবে। এ মুহূর্তে আমাদের সরকারের নজর দেয়া উচিত। বিএমইটির কাজটা দ্রুত গতিতে করে দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের অন্তত ৩০-৪০ হাজার শ্রমিক চলে যেতে পারবেন বলে আমি মনে করি।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন