ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুরু হল ঐতিহাসিক অগ্নিঝরা মার্চ

শুরু হলো ঐতিহাসিক অগ্নিঝরা মার্চ। এ মাসেই দেশজুড়ে গড়ে উঠেছিল তীব্র আন্দোলন। স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সেই ঘোষণার পরেই বাংলার আপামর জনতা নেমে এসেছিল যুদ্ধের ময়দানে।

১৯৭১ সালের ৭-ই মার্চ তৎকালীন রেসর্কোস ময়দানে পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মহান স্বাধীনতার ৪৯ বছর পূর্তি হচ্ছে এবার। সেই সঙ্গে এ মাসেই শুরু হচ্ছে মুজিববর্ষ পালন।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠেছিল একসময় সে আগুনই ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সর্বত্র। এরপর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়ি বেয়ে তীলে তীলে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল অদম্য বাঙালী। আর ৭১ এর ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

১৯৭১ সালের ৭-ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

এরপর ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে অপারেশন সার্চলাইট নামে বাঙালি নিধনে নামে। ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার লোককে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।

এর পরের ঘটনাপ্রবাহ সবারই জানা। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে আবালবৃদ্ধবনিতা যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন