শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

করোনা ভাইরাসের প্রকোপে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে গেছে চীনের অর্থনীতি। ব্যবসা-বাণিজ্য পর্যটন ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে, যার ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে বাংলাদেশেও।

করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিরও। বাংলাদেশের মোট আমদানির প্রায় ৩৫ শতাংশই চীন থেকে আসে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি।

চায়না বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০২১ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছত। করোনার এই কড়াল গ্রাসে সম্ভাবনা বিলীন হয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

কাপড়, আদা, রসুন, বিভিন্ন প্রকারের খাদ্যসামগ্রী, মেশিনারি, খুচরা যন্ত্রাংশ, খেলনা, মোবাইল, বৈদ্যুতিক সামগ্রী মিলিয়ে শত শত আইটেমের পণ্য আমদানি করা হয় চীন থেকে। অন্যদিকে চামড়া, পাট ও পাটজাত পণ্য, চা, তৈরি পোশাক ও মত্স্যজাতীয় পণ্য বাংলাদেশ চীনে রফতানি করে থাকে।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে চীন। এতে কাঁকড়া ও কুঁচিয়ার দাম কমে যাওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৪ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের বেশ কিছু মেগা প্রকল্পে ৯০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন। প্রায় ৮ হাজার চীনা নাগরিক কাজ করছেন এসব প্রকল্পে। তাদের প্রায় ১০ শতাংশ চীনা নববর্ষের ছুটিতে দেশে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারছেন না। এ কারণে প্রকল্পগুলো শেষ হতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  কাল থেকে বস্তিতে করোনার টিকাদান শুরু

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ 

সংবাদটি শেয়ার করুন