শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুসরাত হত্যা: হুমকির মুখে সাক্ষীরা

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার সাক্ষীরা। তারা অভিযোগ করছেন আসামির স্বজনেরা নানাভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছেন। তবে প্রশাসন বলছে, বাদী ও সাক্ষীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট রয়েছেন তারা।

নুসরাত হত্যা মামলায় আসামিদের পক্ষে কৌঁসুলি ১৬ জন। অন্যদিকে, বাদী পক্ষের কৌঁসুলি মাত্র একজন। আর রাষ্ট্রের হয়ে একজন সরকারি কৌঁসুলি লড়ছেন। শুনানির সময় আদালত চত্বরে বাদীপক্ষের তেমন কেউ না থাকলেও আসামিদের স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

সাক্ষীদের কৌশলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নুসরাতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানের। তিনি বলেন, ‘সাক্ষীদের বলা হচ্ছে তারা যেন সঠিক কথাগুলো আদালতে না বলে, সেজন্য তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’

হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেয়ায় মেয়ে ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নুসরাতের সহপাঠি নাসরিন সুলতানা ফূর্তির পরিবার। ফূর্তির বাবা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সাক্ষী দিয়েছে আমার মেয়ে, আমি ছিলাম। প্রতিহিংসা মানুষের থাকবে, এটাই স্বাবাবিক। সরকার যদি আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে তবে, আমাদের উপকার হবে।’

হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন বিভিন্নভাবে তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করেন মামলার বাদীর আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু। তিনি জানান, ‘সাক্ষীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও, তাদের নানাভাবে বলা হচ্ছে যেন অনেকের নাম না বলে।’

হুমকির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী, ‘কোন যদি প্রমাণ পাই যে কেউ তাদের বিরক্ত করছে বা কেউ তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে, তাহলে সাথে সাথে তাদেরকে অ্যারেস্ট করা হবে ও কেস নেয়া হবে।’

আরও পড়ুনঃ  ১৫ জেলায় প্রায় ৭ হাজার বজ্রনিরোধক দন্ড স্থাপনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে: প্রধানমন্ত্রী

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ৬ই এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। ১০শে এপ্রিল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যু হয় নুসরাতের। পিবিআই মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গত ২৭শে জুন থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন