মশার উপদ্রবে গত কয়েকদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় শহরবাসী। ইতিমধ্যেই আগামী ১৫ দিনে ঢাকায় মশার উপদ্রব আরও বাড়ার শঙ্কাজনক তথ্য দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ঢাকায় মশার ঘনত্ব এবং আগাম সতর্ক বার্তা নিয়ে কাজ করছেন তারা। প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষণা চালাচ্ছেন এই দল।
গবেষক দলের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, ঢাকায় মশা জন্মায় এমন স্থানগুলো পর্যবেক্ষণ করে সেখান থেকে মশা সংগ্রহ করে সেগুলোকে ল্যাবে নিয়ে শনাক্ত করা হয়। এছাড়াও ড্রেন এবং ডোবায় অগণিত ডিম দিয়েছে মশা।
আরও পড়ুন : করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ
অনেক দিন যাবত বৃষ্টিপাত না হওয়াতে মশা জন্মানোর স্থানগুলোতে পানির অর্গানিক ম্যাটারিয়াল বেড়েছে। এই অর্গানিক ম্যাটরিয়ালগুলো কিউলেক্স মশার লার্ভার খাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝ থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় মশা জন্মানোর জন্য এটি উপযুক্ত সময়।
এছাড়া এই ডিমগুলো আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হবে। তাই অতি দ্রুত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে মশা জন্মানোর স্থানগুলোতে লার্ভিসাইড না ছিটানো হলে মার্চ মাসে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে মশার উপদ্রব।
আনন্দবাজার/ এইচ এস কে