চীনের পর করোনার আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু রূপ নিয়েছে জনমানবহীন শহরে। শুক্রবার এই ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ১৪৬ জনের ৮৬ জনই দেশটির দক্ষিণের দায়েগুর বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুই জন। চীন এবং জাপানের প্রমোদতরীর বাইরে দক্ষিণ কোরিয়াতেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬জন। আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ইসরায়েল ও লেবাননেও। জাপানে নতুন করে নয়জনের এই ভাইরাস ধরা পড়েছে এবং এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৬ জনে।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে ইরানেও। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে কওম শহর থেকে। সব মিলিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। এখন পর্যন্ত মারা গেছে চারজন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে এখনই সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানো জরুরি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেবিয়াসাস। তিনি বলেন, সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। তবে সুযোগগুলো ক্রমশ কমে আসছে। তাই সুযোগ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সুযোগগুলো নষ্ট হলে সামনে ভয়াবহ বিপদ।
চীনে কোভিড-নাইনটিনে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩শ ৪৫জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৭ হাজার।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস