উৎপাদন ব্যয় উঠে না আসার ফলে বিপাকে কক্সবাজারের লবণ চাষিরা। একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্যামিকেল আইটেমের নামে গোপনে সোডিয়াম ক্লোরাইড (খাবার লবণ) আমদানি করায় চাষের লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। আর এই কারণে লবণ উৎপাদনে উৎসাহ হারাচ্ছেন চাষিরা। ফলে স্বয়ংসম্পন্ন দেশীয় লবণ শিল্প পড়ছে শঙ্কার মুখে।
জানা যায়, বাজারে আয়োডাইজ লবণ কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এক কেজি লবণের দাম মাত্র ৪ টাকা। একদল সিন্ডিকেটের পকেটে লাভ ঢুকলেও লাভের মুখ দেখছেনা না চাষিরা। উৎপাদন খরচের অর্ধেকও দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। মাঠ থেকে এক কেজি লবণ উৎপাদনে খরচ পড়ছে সাড়ে ৬ টাকা। ২০১৭ সালে ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলার জন্য সরকার জাতীয় লবণনীতি-২০১৬ এর আলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তা এখনও কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। এর ফলেই এমন পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেন লবণ সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার সদরের গোমাতলীর লবণ চাষি রিদুয়ানুল হক জানান, অন্য বছর এ সময় লবণ চাষে ব্যস্ত সময় পার করতেন চাষিরা। কিন্তু বর্তমানে লবণ মাঠে উদাসিন সময় পার করেন তারা। আশা নিয়ে মাঠে নামা অনেক চাষি মাঠ ছেড়ে চলে আসছেন। সবার একই কথা, ব্যয়ের সাথে বিক্রয় মূল্যের সামঞ্জস্য নেই। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে চাষে থেকে দেনা বাড়িয়ে লাভ কি? অথচ পরিবারের ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে গ্রীষ্মে লবণ ও বর্ষায় চিংড়ি চাষই একমাত্র ভরসা এখানকার অধিবাসীদের।
আনন্দবাজার/এফআইবি