ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্থিতিশীল পণ্যবাজার

চীনে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। আবারও অস্থির পণ্যের বাজার। বিশেষ করে আদা এবং রসুনসহ চীন থেকে আমদানি করা সব ধরনের পণ্যের দাম খুবই চড়া। কারণ বাংলাদেশের আদা-রসুনের ৭৫ শতাংশ আমদানি কড়া হয় চীন থেকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত ২৫ দিনে কেজি প্রতি রসুনের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে চীন থেকে নতুন  আর কোনো শিপমেন্ট না আসায় পুরনো পণ্য আসছে। কিন্তু এই সরবরাহ আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তখন আবার রসুনের দাম আরো বেড়ে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা।

জানা গেছে, চীন থেকে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে এবং বর্তমানে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০টাকা। কিন্তু গেল মাসেও এই রসুনের মূল্য ছিল ১৪০ টাকা এবং প্রতিকেজি দেশীয় পুরনো রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়, যার দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১৭০ টাকা।

আরও পড়ুন : মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাবের জন্য দাম বাড়ছে ভোগ্য পণ্যের

অন্যদিকে পাইকারি বাজারে চায়না আদার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কমে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেরালার আমদানি করা আদা পাইকারিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। তবে পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। খুচরা বাজারে চায়না আদার দাম কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি, যা গতমাসে ছিল ১২০ টাকা।

এই ব্যাপারে পাইকারি শ্যামবাজারের মেসার্স রাজবাড়ি ভাণ্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী এবং আদা রসুন আমদানিকারক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো. মাজেদ জানান, বাজারে বেশিরভাগ আদা এবং আমদানি করা হয় চীন থেকে। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে  চীন থেকে এই পণ্য গুলোর আমদানি বেশি কমে গেছে। এর প্রভাবও পড়েছে পণ্য বাজারে। তাই রসুনের কোনো বিকল্প বাজারে না থাকায় দাম চড়ার দিকে।

আনন্দবাজারে / এইচ এস কে 

 

 

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন