লবণ চাষিরা লবণের ন্যায্যদাম না পাওয়ায় মাঠ ত্যাগ করেছেন। চলতি মৌসুমের দুই মাস পার হয়ে গেলও লবণ উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। অথচ গেল মৌসুমে একই সময়ে ১ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। আর এ কারণেই এ মৌসুমে লবণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কায় আছে বিসিক।
তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে লবণ চাষিদের মাঠে ফেরাতে এবং ন্যায্যদাম নিশ্চিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
কক্সবাজার উপকূল জুড়ে লবণ চাষের মাঠ। সাধারণত এ সময় লবণ চাষে ব্যস্ত থাকেন চাষিরা। কিন্তু এখন লবণের মাঠে দেখা দিচ্ছে চাষিশূন্যতা। তবে যারা চাষের জন্য মাঠে নেমেছিলেন তারাও এখন মাঠ ছেড়ে উঠে আসছেন। তাদের অভিযোগ, তারা মাঠ পর্যায়ে লবণে চাষ করে ন্যায্যদাম পাচ্ছেন না।
লবণ চাষিরা বলছেন, ন্যায্যদাম নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা লবণ চাষের জন্য মাঠে নামবেন না। ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা থেকে শুরু করে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবকিছুর জন্যই লবণের ওপর নির্ভর করতে হয়।
এদিকে লবণ নিয়ে বেশ চিন্তিত আছে ৩০০ মিল মালিক। তাদের অভিযোগ, একটি চক্র সোডিয়াম সালফেটের নামে বিদেশ থেকে এখন লবণ আমদানি করছে। যে কারণে দেশের লবণ শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির জানান, এখন সোডিয়াম সালফেট রহরহ আমদানি হচ্ছে। এটার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েও কাজ হয় নি।
কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প (বিসিক) উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আহামদ জানিয়েছেন, আবহাওয়া প্রতিকূল আবস্থায় ছিল। বৃষ্টি হয়েছে তার ফলে লবণ খুব একটা উৎপাদন হচ্ছে না।
আনন্দবাজার/এম.কে