ঢাকার আশেপাশের কিছু এলাকায় সরকার ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার পর বর্তমানে সেই সব জমিগুলোতে চাষ হচ্ছ বিভিন্ন রকমের সবজি। এর ফলে এক সময়ের পেশা বদলানো চাষি আবার পুনরায় ফিরেছেন কৃষিকাজে। কিন্তু ভালো ফলন পেতে এবং মাটি আরো উপযোগী হতে আরো অন্তত এক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছেন চাষিরা।
এক সময়ের ইটভাটার ইট ভর্তি মাঠে বর্তমানে সবুজের সমারোহ। ফলছে লাউ, টমেটো, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন রকমের মৌসুমী সবজি। আশুলিয়ার তুরাগ নদ লাগোয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এমন চিত্র এখন আশান্বিত করছে কৃষকদের।
গত এক বছরে এই সব এলাকায় বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু ইট ভাটা। সেই ভাটার নিচেই এখন চলছে সবুজ বিপ্লব। একজন কৃষক বলছেন, এই মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন তিনি। শুধু ফুলকপিতেই তার লাভের অঙ্ক, লাখের ঘর ছুঁয়েছে।
কিন্তু তার আক্ষেপের বিষয় হলো বন্ধ হওয়া ইটভাটা যাতে আবার চালু না হয় তেমন স্থায়ী উদ্যোগ কেন নেয়া হয় না। আরো একজন কৃষক জানান, এই মৌসুমে যেমন লাভ হয়েছে আগামী বছর এই লাভ আরো বাড়বে।
আশুলিয়ার এই উদাহরণকে সাধুবাদ জানিয়ে অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা ও এর আশপাশের কয়েকটি জেলায় গত কয়েক মাসে অন্তত পাঁচশ ভাটা বন্ধ করা হয়েছে। নয়াপাড়া এলাকার কৃষকেরা বলছেন, আদালতের আদেশ মেনে যদি এ এলাকায় চালু থাকা অবৈধ ভাটাগুলো বন্ধ করা হয় তবে উপকৃত হবেন তারা। তাই পরিবেশতো বটেই কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে সারাদেশেই অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন প্রান্তিক এই মানুষেরা।
আনন্দবাজার/এফ .আই.বি