বোরো ধান আবাদে ব্যয় বেশি হওয়ায় বিপাকে ফরিদপুরের চাষিরা। অপরদিকে প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহ আর কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন নড়াইলের কৃষকরা।
২০১০-১১ মৌসুমে ফরিদপুর জেলার নয়টি উপজেলায় বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৯ হাজার ৪১৭ হেক্টর। তবে চলতি মৌসুমে এই ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে।
চাষীরা জানিয়েছেন, এই ধান চাষ সম্পূর্ণ সেচ নির্ভর। ধান বিক্রি করে যে টাকা পান তা দিয়ে সেচ ও শ্রমিকের খরচ যোগানো কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে বোরো বাদ দিয়ে গমে এবং মশুর চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।
কৃষি বিভাগ জানান, আগামীতে যেন বোরো আবাদ বাড়ে সে লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। কৃষকদেরও দিচ্ছেন নানা রকমের পরামর্শ।
অন্যদিকে, প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহ ও ঠান্ডায় নড়াইলে এ মৌসুমের বীজতলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এবার প্রত্যাশিত বোরো উৎপাদন নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৪শ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা করা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলন ব্যাহত হয়েছে।
নড়াইল জেলায় এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৪৮ হাজার ১৫০ হেক্টর। এর মধ্যে ১৫ হাজার ২১৩ হেক্টর জমিতে বোরো রোপন হয়েছে।