করোনায় আক্রান্ত চীনের সরকারি বন্ধের সময়-সীমা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে কাঁচামাল সরবরাহ তৃতীয়বারের মতো পিছিয়েছে দেশটি।
এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের বাধ্যবাধকতকায় চীনকে বাদ দিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরের কাঁচামাল সংগ্রহে বিকল্প দেশের সন্ধান পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে না তুলে চীনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কাঁচামাল সংগ্রহে চরম বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে চীনের এ সঙ্কট মাথায় রেখে ভবিষ্যতের জন্য এখনই পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
চায়না নববর্ষের জন্য ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের সরকারি বন্ধ ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস জটিলতা শুরু হওয়ার ফলে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম দফা, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় সরকারি বন্ধ বাড়ানো হয়েছিল। সবশেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তৃতীয় দফা বন্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে চীন সরকার।
অথচ বছরের পর বছর বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল সবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রেখে আসছে চীন। গত চার দশক ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় হলেও আমাদের দেশে গড়ে উঠেনি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প প্রতিষ্ঠান। চীন থেকেই কাপড়সহ সব ধরনের কাঁচামাল কিনে আনেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের মতে, বিশ্বের ৫শ’র বেশি নামকরা বায়ার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে পণ্য কেনে। এদিকে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে না ওঠার পেছনে তাদের কিছু কৌশলও কাজ করে। কারণ বায়ার প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁচামাল কিনতে হয় চীনের প্রতিষ্ঠাগুলো থেকে।
বিজিএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, বড় ধরনের বাধার জন্য এ ইন্টারেস্ট রেটে কেউ ইনভেস্ট করতে চায় না।
বর্তমানে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পুরোদমে চালু রয়েছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি গার্মেন্টস কারখানা। চীন থেকে আনা কাঁচামাল দিয়ে আন্ডারগার্মেন্টস, টি শার্ট, প্যান্ট, জার্সি, ভারি জ্যাকেটসহ প্রায় একশো রকমের পণ্য তৈরি করে বিদেশে রফতানি করে বাংলাদেশ। চীনে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর তৈরি পোশাক শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশের মতো প্রতিটি দেশকেই সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। এদিকে বিকল্প দেশেরও সন্ধান মিলছে না।
আনন্দবাজার/তাঅ