প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সঙ্কটে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমাতে ওপেকের প্রস্তাবে একাত্বতা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার তারা এ ঘোষণা দেয়ার পরের দিনই হুড়হুড় করে বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ০.৬ শতাংশ কমলেও শুক্রবার প্রতি ব্যারেলে ৩৪ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার। পাশাপাশি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড অয়েলের দামও। শুক্রবার ক্রুড অয়েল ০.৫ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫১ দশমিক ২৩ ডলারে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সহযোগী দেশগুলোর (ওপেক প্লাস নামে পরিচিত) একটি প্যানেল প্রতিদিন প্রায় ছয় লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে রাজী হয়। তাছাড়া বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ তেল উৎপাদন হয় ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোতে।
শিগগিরই তারা পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাতে রাজি হয়েছে। কমানোর পর তাদের উৎপাদন দাঁড়াবে প্রতিদিন প্রায় ১৭ লাখ ব্যারেল, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় দুই শতাংশ।
চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর সারাবিশ্বে তেলের দাম কমে গেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ। আন্তর্জাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটের বিশ্লেষকরা জানান, চীনে তেলের বাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব এখনও অনেক বেশি। আরও জানা যায়, সেখানে জেট ফুয়েলের চাহিদা কমে গেছে, অর্থনীতির অবস্থাও পড়ন্ত।
এখন পর্যন্ত চীনের বাইরে চাহিদা সঙ্কট ন্যূনতম পর্যায়েই আছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে তেল আমদানি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে চীন। একই সাথে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিনোপেকও উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন শহরে চীনাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চলায় শিগগিরই তেলের চাহিদা অন্তত ২০ শতাংশ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ২০ শতাংশ তেল কমার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ব্যারেল। রয়টার্স ও সিএনএন।
আনন্দবাজার/শাহী