ঢাকা | মঙ্গলবার
১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রপ্তানি প্রণোদনা ঘোষণায় বাড়ল চালের মূল্য

সম্প্রতি চাল রপ্তানিতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। গেল মাস থেকেই অল্প অল্প করে বাড়ছিলো চালের মূল্য। কিন্তু এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই চালের মূল্য অনেকটাই  বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানেই চালের মূল্য প্রতি কেজি বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। চালের সাথে সাথে বেড়েছে ধানের মূল্যও।

কিন্তু মূল্য বাড়লেও কৃষকরা এখন পর্যন্ত তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। দর বৃদ্ধির এই সুবিধা ভোগ করছে মিল মালিক, আড়তদার এবং ব্যাপারিরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩০ জানুয়ারি চাল রপ্তানিতে প্রণোদনা ঘোষণা দিয়ে সার্কুলার জারি করে। এবং পরবর্তীতে সেটা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, সরকার চাল রপ্তানি সম্প্রসারণে উৎসাহিত করতে এবারই প্রথম ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রপ্তানি করা চালের দামের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

এতে জানানো হয়, দেশেই ধান সংগ্রহ করে  প্রক্রিয়াজাত করে সেই চাল রপ্তানি করলে ব্যবসায়ীরা ১০০ টাকার বিপরীতে ১৫ টাকা করে ভর্তুকি পাবে। আর এই ঘোষণার পরেই বাজারে বেড়ে যায় চালের মূল্য। রাজধানীর বেশ কয়েকটি যায়গায় খুচরায় কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়তি মূল্যে চাল বেচাকেনা হচ্ছে।

কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে নাজিরশাইল চাল ৭২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে মিনিকেট চালের মূল্য ছিল ৪৬ থেকে ৫২ টাকা। কেজিতে দুই টাকা বেড়ে মোটা চাল ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা হয়েছে এবং একই হারে বেড়ে বিআর আটাশ, পাইজাম ও লতা চাল মানভেদে ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি ঢাকার পাইকারি বাজার গুলোতেও বেড়েছে চালের মূল্য।

 এই ব্যাপারে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান জানান, রপ্তানি যাই হক না কেন চালের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এটাও সত্যি যে রপ্তানি বাড়লে মূল্য বাড়বেই। চাষীদের কথা ভেবে এই পদক্ষেপ গ্রহন করা হলেও চাষীরা ন্যায্য সুবিধা পাচ্ছেন না। অপরদিকে ভোক্তারাও অসুবিধায় পড়ছেন। তাই রপ্তানি প্রণোদনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দেখা উচিত, যেন স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য মোটা চালের দাম অব্যাহত থাকে।

আনন্দবাজার/ এইচ এস কে

 

সংবাদটি শেয়ার করুন