ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজিসহ নিত্যপণ্য

দেশের বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, আটা, আদা, রসুন, এলাচ, শুকনা মরিচ, ভোজ্যতেলসহ ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও এ মৌসুমে সকল প্রকারের সবজির সরবরাহ থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে চাড়া দামে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি স্বর্ণা (মোটা চাল) ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা কিনা গেল তিন সপ্তাহ আগেও ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি করা হতো। গেল তিন সপ্তাহ আগে ৫০-৫২ টাকার নাজিরশাল এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। এবং ৪৬-৪৮ টাকার মিনিকেট বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন জানান, এখনও মিলাররা চালের সংকট দেখিয়ে বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছেন। আর এ কারণেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চাল বাড়তি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মাসের বুধবার ৯০-১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও আমদানি করা ৬০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ ৭০-১২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, গেল মাসের ব্যবধানে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে সরু চাল এবং ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে মোটা চাল। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ এবং কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজ।

মুদি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একদিনের (রবিবার) ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা থেকে ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে এবং প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬৫-৭০ টাকা থেকে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে এক সপ্তাহ ব্যবধানে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন কোম্পানিভেদে ৪৮০-৫২০ টাকা থেকে ৪৭০-৫১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে জানা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজি শসা আকারভেদে ২০-৩০ টাকা থেকে ৪০-৬০ বিক্রি করা হচ্ছে। করলা ৫০-৭০ টাকা থেকে ১০০-১২০ টাকায়, পেঁপে ১৫-২৫ টাকা থেকে ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

দেশি পাকা টমেটো প্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকায়, ভালো মানের শিম ৪০-৫০ টাকায়, ফুলকপির পিস ৩০-৩৫ টাকায়, গাজর ৪০ টাকায়, বেগুন ৪০-৫০ টাকায় এবং মাঝারি আকারের প্রতি পিস লাউ ৭০-৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে, যা তাদের কাম্য নয়। এতে করে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত অসহায় হয়ে পড়ছেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সরকারি পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল জানান, অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন দুটি টিম বাজার তদারকি করে থাকে। কোনো অনিয়ম পাওয়া মাত্রই শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, যে কটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, তা কেন বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে পণ্যের দাম ভোক্তা সহনীয় করতে কাজ চলমান রয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন