প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ধস নেমেছ চীনা অর্থনীতিতে। তবে দেশটির এমন বিপর্যয়ের মধ্যেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তৈরী পোশাক শিল্পের বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তাদের আশা, করোনার প্রভাবে চীনের রফতানি বাণিজ্য বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়তে পারে। আর এমন সুযোগে অর্ডার বাড়তে পারে বাংলাদেশের।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতে, বিশ্ববাজারে বর্তমানে ৪২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রয়েছে। তবে এসব মার্কেটের বেশির ভাগ আছে চীনের দখলে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কখনও দ্বিতীয়, কখনও তৃতীয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ভিয়েতনামের দ্রুত উত্থানে করণে তীব্র চাপের মুখে পড়েছেন এ দেশের তৈরি পোশাক রফতানিকারকরা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, করোনাভাইরাসের কারণে তীব্র চাপে মুখে রয়েছে চীনের অর্থনীতি। বর্তমান সময়ের মধ্যে চীন সফর বাতিল করেছেন শত শত আমদানিকারক। এরই মধ্যে চীনের বেসামরিক উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ বাতিল টিকিটের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর থেকেই দেশটির প্রধান তিনটি এয়ারলাইন শেয়ার দর পড়ে গেছে।
এদিকে চীনের এ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক রফতানি বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি বলেন, চীন থেকে রফতানি কমলেই রফতানিকারক দেশ থেকে বাড়তে শুরু করবে এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের সম্ভাবনাই সব চেয়ে বেশি।
আনন্দবাজার/এম.কে