সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কম, রাজস্ব আদায়ে নেই গতি। এতে করে বড় রকমের আর্থিক সংকটের পরেছে সরকার। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিনিয়তই ব্যাংক ঋণ এর দিকে ঝুঁকছে সরকার।
অর্থবছরের ছয় মাস এখনও শেষ হয়নি, এরই মধ্যে সরকারের ব্যাংক ঋণ ছাড়িয়ে গেছে অর্ধলাখ কোটি টাকা। যা কিনা অর্থবছরের পুরো সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারে এখনি সচেতন হতে হবে তা নাহলে বাধার মুখে পড়বে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। কারণ সরকার বেশি ঋণ নিলে, বেসরকারি খাতকে পর্যাপ্ত অর্থ দিতে পারবেনা ব্যাংকগুলো। এতে ঋণের সুদহারও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কাও থেকে যায়।
নতুন ভ্যাট আইন পুরোপুরি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, ফলে বিভিন্ন পণ্যে রাজস্ব অব্যাহতিসহ নানা কারণে রাজস্ব আদায়ে গতি ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে এনবিআর।চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ইতোমধ্যে সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, সঞ্চয়পত্র বিক্রিতেও ভাটা পড়েছে। মুনাফায় উৎসে কর বৃদ্ধি সহ নানা রকম কড়াকড়ি আরোপে সঞ্চয়পত্র বিক্রি আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে প্রায় ৭৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।
এইদিকে, এবারের বাজেটে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ে ভাটা আর অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ায় উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিতে ব্যাধ হচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ এর পরিমাণ ৫০ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সরকার লক্ষ্যমাত্রার বেশি ব্যাংক ঋণ নেয়ায় উদ্বিগ্ন দেশের অর্থনীতিবিদরা।
তাঁরা বলছেন অর্থবছরের শেষ সময়ে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, সরকারের ব্যাংক ঋণ একলাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আনন্দবাজার/শহক