আমেরিকা ইরানের চলমান যুদ্ধাবস্থা, তার সাথে যোগ হল অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল এবং সর্বশেষ চীনে করোনা ভাইরাসের মহামারি। সবমিলিয়ে অস্থির হয়ে উঠছে বাংলাদেশের ভোগ্য পণ্যের বাজার।
মূলত অস্ট্রেলিয়া, ইরান এবং চীন এই তিন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। রপ্তানিকারক এ তিন দেশেই অস্থিরতা বিরাজ করার কারণে আসন্ন রমজানে দেশের বাজার লাগামহীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সবাই। রমজানের আরও চার মাস বাকি থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল, চিনি এবং ছোলাসহ অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের বাজার চড়া।
রমজানে সবচেয়ে বেশি অস্থির হয় ছোলার বাজার। চলতি সপ্তাহে ছোলার বুকিং রেট প্রতি মেট্রিক টনে ৪০ মার্কিন ডলার কমলেও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের কারণে ৬০০ ডলারের বুকিং রেট পৌঁছে গেছে সাড়ে সাতশ মার্কিন ডলারে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক মাস ধরে অস্ট্রেলিয়া ছোলার বুকিং এক প্রকার বন্ধ রেখেছিলো। মাঝে ছোলার বুকিং রেট প্রতি মেট্রিক টন সাড়ে সাতশ ডলারে চলে গিয়েছিলো।
অপরদিকে নানা সমস্যায় জর্জরিত চিনির বাজার এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আজো প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ২২শ’ টাকা দরে। রমজানে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিল মালিকদের সহযোগিতার কথা বলছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
আনন্দবাজার/জায়েদ