চলতি মৌসুমে ফলন কম হলেও সবজির ভালো দাম পেয়েছেন যশোরের চাষিরা। সেই সঙ্গে পাইকার ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়েছেন। তবে কৃষকরা দাবি, কীটনাশক ও ভেজাল সারের কারণে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ হয়নি তাদের। কৃষকদের অভিযোগ, চিত্রটি ভিন্ন হতে পারত কৃষি বিভাগের সঠিক নজরদারি থাকলে। কিন্তু কৃষি বিভাগের দাবি, সারা বছরই তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছর রবি মৌসুমে আগাম শীতকালীন ও শীতকালীন সবজি চাষ হয় যশোর জেলার প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে চলতি মৌসুমে উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে এর কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
কৃষকদের দাবি অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সবজির ক্ষেত ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণে তারা আশানুরূপ ফলন পাননি। তবে এ বছর সবজির চড়া দাম পেরেছেন কৃষকরা। মৌসুম জুড়ে সবজির ভালো দাম থাকায় কৃষকের পাশাপাশি সবজির পাইকার ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়েছেন।
চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি শিম ৭০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা এবং বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
আনন্দবাজার/এস.কে