দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের ২০১১ সালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে দায়ের করা দুটি পৃথক রিভিউ পিটিশনের শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর)।
আগামী বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক পিটিশনের শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। পিটিশনকারীর আইনজীবীরা শুনানির জন্য বিষয়টি উত্থাপন করলে চেম্বার বিচারপতি এই আদেশ দেন।
জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহাল চেয়ে গত ১৬ অক্টোবর দুটি রিভিউ আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ২৭ আগস্ট একই ধরনের একটি পিটিশন দায়ের করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক। অন্য চার আবেদনকারী হলেন ড. তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, মো. জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।পিটিশনে তারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জনগণের রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়েছে এবং তাই এটি সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামোতে পরিণত হয়েছে, যা বাতিল করা যাবে না।
এদিকে আপিল বিভাগের যে রায় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করেছে তা স্ববিরোধী কারণ আদালত তার সংক্ষিপ্ত রায়ে বলেছেন যে আগামী দুটি জাতীয় নির্বাচন (দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই নির্দেশনার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
রোববার শুনানিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মোহাম্মদ শিশির মনির এবং অন্য পাঁচজন আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ড. শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেন শাওন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলুপ্তিসহ বেশ কিছু বিষয় এনে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়।