বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাল পাসপোর্ট বাতিল করলো সরকার

লাল পাসপোর্ট বাতিল করলো সরকার

দেশের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিকিউরিটি সার্ভিস বিভাগ। সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে এরই মধ্যে দেশের সব ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেছে মন্ত্রণালয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই সপ্তাহ পর এমন সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তী সরকার।

মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে (ডিআইপি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে এবং আশা করছি খুব শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।

জানা যায়, সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে। যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

এদিকে, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে, যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে, আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ  ট্রাভেল এজেন্সির বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকার

উল্লেখ্য,, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছে। এ সময় বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে আটক হয়েছেন কয়েকজন। কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। সেনা হেফাজতে ছিলেন ৬২৬ জন। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন। আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন ও তাদের পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন