হেফাজতে ইসলামের মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে সমাবেশ ঘিরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় শেখ হাসিনা ও আরও ২৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব (শিক্ষা ও আইন) মুফতি হারুন ইজাহার চৌধুরীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম এ অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আতাউর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, আমরা অভিযোগটি নথিভুক্ত করেছি এবং আজ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রাথমিক তদন্ত শেষে এবং ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হওয়ার পর আমরা প্রসিকিউশনের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইব।
দেশের সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে এটি চতুর্থ অভিযোগ। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হয়ে পরে সরকারের পতন ঘটানো আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের চালানোর নিয়ে তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সদ্দিক, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জোবায়ের, এবিনিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাস সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।