সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে দিনভর সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যে সারা দেশের ২৭ থানা, ফাঁড়ি, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও রেঞ্জ অফিস ভাঙচুর হওয়ার তথ্য দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রবিবার (০৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, এ ঘটনায় ১৪ পুলিশ নিহত এবং আহত হন তিন শতাধিক।
এদিন হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য অনুসারে আক্রান্ত থানা, ফাঁড়িগুলো হলো—ডিএমপির যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানা, টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা, বগুড়ার সদর, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর থানা এবং নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি, জয়পুরহাট সদর থানা, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও গংগাচড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা, হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিস, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং দিনাজপুর সদর থানা।
উল্লেখ্য, রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে দেশের ১৬ জেলায় সহিংসতায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৭৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে ২১, লক্ষ্মীপুর ৮, নরসিংদী ৬, ফেনী ৫, বগুড়া ৪; কিশোরগঞ্জ, পাবনা, মাগুরা, রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ ও সিলেটে ৩ জন এবং জয়পুরহাট, ভোলা ও বরিশালে ১ জন করে নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।