ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি ধর্মীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১০৭ জান প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের হাতরাশ এলাকায় মঙ্গলবার মর্মান্তিক ওই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন ধর্মীয় প্রচারক হাতরাস জেলার সিকান্দ্রারাউ এলাকার রতিভানপুর গ্রামে তাবু টানিয়ে আয়োজিত ‘সৎসঙ্গে’ অনুসারীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ মনে করছে, অনুষ্ঠানস্থলে অনেক মানুষ থাকায় একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর অনেক মানুষ একসঙ্গে সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এই আয়োজনটি যে সময়ে চলছিল তখন প্রচণ্ড গরম ছিল বলেও জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর জেনারেল (আলীগড় রেঞ্জ) শলভ মাথুর বলেন, এটি ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা।
জানা গেছে, স্থানীয় এক ধর্মীয় নেতার ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। পরে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে মানুষেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে শুরু করে। এ সময় পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বাস এবং টেম্পোতে করে নিহতের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে বহন করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুও।
প্রসঙ্গত, এদিকে ইতাহের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুও রয়েছে।