সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয়ের লটারিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। লটারির মাধ্যমে খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করার কার্যক্রমে কৃষকের পরিবর্তে ভাগ্য খুলেছে দালালদের। কৃষককে সহযোগিতা করার সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের কারণে।
এসব স্বীকার করে নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয়ে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের তৈরি তালিকা সঠিক হয়নি।
বগুড়ার ধুনট থানার চরপাড়া গ্রামের কৃষক আকিমুদ্দিন বলেন, যারা প্রকৃত কৃষক তাদের নাম লটারিতে ওঠেনি। কিন্তু যারা জীবনে কোনো দিন ধান চাষ করেননি তাদের নাম লটারিতে উঠেছে। আর তাদের টিকিট কিনে নিচ্ছে কিছু দালাল।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি বাংলাদেশ
কুড়িগ্রামে নির্বাচিত কৃষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও ভাই। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের তিন সদস্যসহ ১১ ইউপি সদস্যের নামও রয়েছে তালিকায়।
উপজেলার একাধিক কৃষকের অভিযোগ, তালিকায় যাদের নাম উঠেছে তাদের ভেতর বেশিরভাগই প্রকৃত কৃষক নন। তারা ধানের আবাদ করেনি কিন্তু লটারিতে নাম এসেছে। সেই ভুয়া কৃষক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাদের নামে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করছে। মাঝ থেকে ভুয়া কৃষকরা টাকা পাচ্ছেন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস