জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি আছে। নির্বাচনটা শেষ হোক, এরপর প্রার্থীদের সম্পদের হিসাবের সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুদক কার্যালয়ে এমজিআই-র্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দুদক চেয়ারম্যান।
সাংবাদিকদের নির্বাচনে প্রার্থীদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নির্বাচনের পর হলফনামা যাচাইয়ের এ ইঙ্গিত দেন। দুর্নীতি দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাংবাদিক ও দুদক একে অপরের পরিপূরক। আমরা চাই আপনারা দুর্নীতি নিয়ে ভালো ভালো রিপোর্ট করবেন। আপনারা যখন বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য পাবেন, তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধান করে মুদ্রার দুই পিঠ তুলে ধরবেন, তাতেই আমরা লাভবান হবো।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এমনভাবে রিপোর্ট করবেন যাতে দুর্নীতিটা বন্ধ হয়। সবার কাছে একটা অনুরোধ, আপনারা কোনো ফরমায়েশি প্রতিবেদন করবেন না। এতে সেই প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ হবে না। সংবাদের স্বকীয়তাও থাকবে না।
আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে ভালো ভালো রিপোর্ট ও অনুসন্ধান চাই উল্লেখ করে দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন বলেন, রিপোর্টে দুর্নীতি উন্মোচন করতে হবে। স্টোরি এমন হবে যাতে আমরা (দুদক) এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রতিটি দুর্নীতির ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে ইন-ডেপথ রিসার্চ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ কমিশন ও র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে ৩ জনকে তিন ক্যাটাগরিতে এমজিআই-র্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ তুলে দেওয়া হয়। অনলাইন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম, প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিবেদক নুরুজ্জামান লাবু এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত পুরস্কার পেয়েছেন।