ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকারি বাজারে কমেছে সবজির দাম

বগুড়া জেলার পাইকারি বাজারগুলোতে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। মৌসুমি সবজির সরবরাহ বাড়ার জন্য দাম কমে গেছে বলে মনে করেন ক্রেতারা।

তবে কৃষকরা বলছেন, এর আগে সবজির ভালো দাম পাওয়া গেছে। কিন্তু এখন কম দামেই সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে, তাই লোকসানে আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। এদিকে কৃষকদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হলে এলাকায় সবজির কোল্ড স্টোরেজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বগুড়ার মহাস্থানের পাইকারি সবজির বাজারে আজ (১৩ জানুয়ারি) প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে  ৩ টাকা দরে, আর নতুন আলু ১৫ টাকা দরে। বেশ কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রকার ভেদে কেজি প্রতি সবজির দামও কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

কৃষকদের দাবি, কম দামে যদি সবজি বিক্রি করে তাহলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। কৃষক কাদের মিয়া বলেন, নতুন আলুর দাম ১৫ টাকা। এরপর একটা লোক নিতে গেলে তাকে ৩০০ টাকা দিতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাড়ার জন্য এমন কম দাম বলে মনে করেন পাইকারি ক্রেতারা। মহাস্থানের এক পাইকার জানান, ফুলকপি পিস কিনেছি ১৫ টাকা দরে, প্রতি কেজি শিম ও আলু কিনেছি ১৫ টাকা দরে।

আরেকজন পাইকার বলেন, মৌসুম এসেছে দাম তো একটু কমবেই। এখন সব জায়গায় নতুন আলু উঠে গেছে। এ অবস্থায় সবজির কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন বলে দাবি কৃষক এবং ক্রেতারা।

ব্যবসায়ী হাসান আলি বলেন, আমাদের এখানে যদি একটা ভালো কোল্ডস্টোর থাকতো আমরা তাহলে কাঁচামাল কিছু কিনে রেখে দিতাম। এতে করে কৃষকের যেমন লাভ হতো, তেমনি আমরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হতাম।

জেলার মহাস্থান, সুলতানগঞ্জ ও রাজাবাজারের মতো বড় সবজির পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি পিচ ফুলকপি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি মূলা ৩, বেগুন ১০, শিম ১২, কাঁচা মরিচ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ খুচরা বাজারে এসব সবজি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন