নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আবারো আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তবে ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ৭ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচিতে বিরতি দেওয়া হয়েছে। সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও যুগপৎভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।
উল্লেখ্য, আগে এক বিবৃতিতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেন, এলডিপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি সফল করুন।
তিনি বলেন, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী আন্তরিকতার সঙ্গে অবরোধ সফলভাবে পালন করায় দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। মেহেরবানি করে আগামী দিনগুলোতেও আপনারা আমাদের সঙ্গে কর্মসূচিগুলো সুশৃঙ্খলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুন। এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। একটু কষ্ট করে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন। সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান গাড়িগুলো রাস্তায় বের না করে আমাদের কর্মসূচি সফল করার জন্য সাহায্য করুন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পর দলটি গত রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এর পর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। এর পর এক দিনের বিরতি দিয়ে আবার দুই দিনের অবরোধ ঘোষণা করা হলো।