রংপুর জেলায় পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের দাবি ছিল বহু দিনের। ২০১১ সালে রংপুর সফরে এসে সেই দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই রংপুরে পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন সরকার। শুরু হয় বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে নীলফামারী পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালনের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ।
ইতোমধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে বগুড়া থেকে ১৫০ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালনের পাইপলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। শেষ হয়েছে কমিশনিং প্রক্রিয়াও। এখন শুধু অপেক্ষা বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস সরবরাহের। রংপুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে এ মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলক গ্যাস সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ব্যাপক আকারে সরবরাহ শুরু হতে কয়েক মাস লাগবে।
এদিকে শুধু নির্দিষ্ট সংখ্যক বৃহৎ কোনো প্রতিষ্ঠানকে নয়, ক্ষুদ্র শিল্পকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়াসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহের দাবি শিল্পোদ্যোক্তাদের। একইসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি হওয়ায় রয়েছে ক্ষোভ ও অভিযোগ। তাদের অনেকেই রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত প্লট ক্রয় করে এখন গ্যাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রাচীন এ জেলায় ভারী শিল্প ও কলকারখানা গড়ে ওঠেনি। তবে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে এ অঞ্চলে শিল্প বিপ্লব ঘটবে।
জিটিসিএল জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের আগে মে মাসেই প্রকল্পের পুরো ১৫০ কিলোমিটার এলাকার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ করে জিটিসিএল। গত ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় রংপুর বিভাগে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, কৃষিভিত্তিক শিল্প-কারখানা স্থাপনের অঙ্গীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর রংপুর বিভাগে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পে গতি বেড়েছে। এ মাসের মধ্যে পাইপলাইনের মাধ্যমে কয়েকটি শিল্প-কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস সরবরাহ করতে চায় জিটিসিএল। যদিও রংপুর বিভাগে স্থাপিত সব শিল্প-কারখানা বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে কারখানাগুলোতে গ্যাস জেনারেটর না থাকায় গ্যাসের সুফল পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অধিগ্রহণ করা ৩০৫ একর জমিতে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের উচ্চচাপ সম্পন্ন গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পীরগঞ্জ টিবিএস-২০ এমএমএসসিএফডি (সিটি গেট স্টেশন), রংপুর টিবিএস- ৫০ এমএমএসসিএফডি, সৈয়দপুর সিজিএস-১০০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন পাইপলাইন দিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ সক্ষমতা ৫০ কোটি স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট গ্যাস।
রংপুরবাসীর স্বপ্নের এই সঞ্চালন পাইপলাইনের পাশাপাশি বিতরণ লাইন নির্মাণের পৃথক একটি প্রকল্পও হাতে নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। প্রকল্পের আওতায় ১০০ কিলোমিটার থাকবে বিতরণ লাইন। এর মধ্যে রংপুর শহরে ৪৪ কিলোমিটার, পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার এবং নীলফামারী ও উত্তরা ইপিজেড এলাকায় ৪৬ কিলোমিটার অংশ রয়েছে।
এদিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি মিটারিং স্টেশন, ডিআরএস স্থাপনে বিদেশ থেকে মালামাল আমদানি, জমি অধিগ্রহণ, ভূমির উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা ঠিকাদারও নিয়োগ করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে।
‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আমিরুজ্জামান বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপলাইনের মাধ্যমে দুয়েকটি কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে স্থাপিত পাইপলাইনের কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি চিহ্নিত করা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগে শিল্প-কারখানায় গ্যাসচালিত জেনারেটর নেই। শুরুতে গ্যাস জেনারেটর রয়েছে এমন শিল্প-কারখানা পাবে বলে আশা করছি।
জিটিসিএল’র প্রকল্প কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক জানান, গেল সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে সৈয়দপুর পর্যন্ত পাইপলাইনে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস সঞ্চালন করে দেখেছি। তবে কোনো কলকারখানা বা শিল্পোদ্যোক্তাকে এখনো গ্যাস সরবরাহ সংযোগ দেওয়া হয়নি। পাইপলাইনে সরবরাহ সঞ্চালন সংযোগ ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই।
পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম বলেন, বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আমরা পাইপলাইনে সরবরাহকৃত গ্যাস বিতরণ কার্যক্রমে রয়েছি। গ্যাস বিতরণ কার্যক্রমে আমাদের প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। গ্যাস বিতরণের জন্য মিটারিং স্টেশন, ডিআরএস স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর সরকারের নির্দেশনা অনুসারে আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকা কিংবা শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে পারব। এতে করে উত্তরাঞ্চলে ভারী শিল্প গড়ে ওঠার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
এদিকে আপাতত ভারী শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড এবং রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের থাকলেও ক্ষুদ্র শিল্পকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়াসহ দ্রুত সময়ে গ্যাস সরবরাহের দাবি স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের। তারা জানান, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরও শুধুমাত্র জ্বালানির অভাবে এতোদিন শিল্পের বিকাশ ঘটেনি রংপুর অঞ্চলে। যে কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে শিল্প বাণিজ্যে অনেক পিছিয়ে রংপুর। তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রংপুরে সরাসরি পাইপলাইনে গ্যাস আসার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় খুশি এই অঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। ঘোষণা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবার পথে। আমরা রংপুরবাসী গ্যাস সরবরাহের প্রাথমিক প্রস্তুতিতে অত্যন্ত খুশি। শিল্পোদ্যোক্তাসহ ব্যবসায়ী মহলের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল এ অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের। এজন্য বহুবার হরতাল, মিটিং মিছিলও হয়েছে। এখন সবার দাবি, আর প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়িয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করার।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আকবর আলী বলেন, পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে অনেক দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা প্লট ক্রয় করে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে আমাদের এখানে আরও বেশি কলকারখানা গড়ে উঠবে। এতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সংকট কমে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। দরিদ্রতার বৈষম্য দূর হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, গ্যাস এলেই এ অঞ্চলে শিল্পবিপ্লব ঘটবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও সকল উপজেলার শিল্পকারখানায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। কিন্তু কবে নাগাদ রংপুরে গ্যাস আসবে তা বলা যাচ্ছে না। কারণ সেপ্টেম্বরে পরীক্ষণমূলক ভাবে গ্যাস সরবরাহের কাজ শুরু হবার কথা থাকলেও সেটি এখনো শুরু হয়নি। আমরা চাই দ্রুত রংপুরে গ্যাস সরবরাহ করা হোক।
এদিকে জিটিসিএলের তথ্য মতে, দেশের উত্তর জনপদে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১ হাজার পিএসআইজির ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন এবং আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটি সরকারি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবান করছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের জন্য ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া হুকুম দখল করা হয়েছে ৫৭৬ দশমিক ৩৭ একর জমি। ৩০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই গ্যাস সরবরাহে পাইপলাইন পাড়ি দিয়েছে ৬টি নদী ও ২টি খাল। এসব নদী ও খালের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ইপিসি ভিত্তিতে সৈয়দপুরে ১০০ এমএমএসসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট পার ডে) ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সিজিএস (সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই), রংপুরে ৫০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিবিএস (টাউন বর্ডার স্টেশন) এবং পীরগঞ্জে ২০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিবিএস স্থাপন করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে পুরোপুরি ভাবে গ্যাস সরবরাহ করবে পশ্চিমাঞ্চলীয় ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
আপাতত শিল্প, কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এমনকি ক্ষুদ্র পর্যায়ের উদ্যোক্তারাও পাবেন এ গ্যাসের সুফল। এখন অপেক্ষা বাণিজ্যে পিছিয়ে থাকা উত্তরের শিল্পখাতকে এগিয়ে নেওয়ার, যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন বলেন, রংপুর অঞ্চলে পাইপলাইনে গ্যাস সঞ্চালন শুরু হলেই দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে অর্থ ঢালতে আগ্রহ দেখাবে। এতে সামগ্রিকভাবে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক একটা পরিবর্তন আসবে। স্থানীয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী কৃষিভিত্তিকসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের শিল্প-কারখানা গড়ে তুলবেন। নতুন শিল্প-কারখানা ও বিসিক এলাকার শিল্প-কারখানার পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমে যাবে। ফলে রংপুরের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, রংপুর এবং নীলফামারী ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়া সত্ত্বেও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রাপ্তির সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বর্তমানে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ১৭৬ এমএমসিএফডি, যা মোট প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। দেশের মোট জনসংখ্যা বিবেচনায় গ্যাস ব্যবহারের এই বৈষম্য দূরীকরণ এবং শিল্পের উন্নয়নের জন্য রংপুর ও নীলফামারী জেলায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, গ্যাস সরবরাহে যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে, তা শিল্পোদ্যোক্তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটানো উচিত।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। সরকার ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) যৌথ অর্থায়নে এক হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরই মধ্যে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করতে পাইপ লাইন বসানো ও অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। এখন ১৫০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরোপুরি কাজে শেষে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।
আনন্দবাজার/শহক