ঢাকা | শুক্রবার
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিতলমারীতে বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস

চিতলমারীতে বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস

বাংলাদেশ তথা দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জীবীকার অন্যতম প্রধান উৎস চিংড়ি। ‘ব্ল্যাক টাইগার’ নামে খ্যাত সেই বাগদা চিংড়িতে ভাইরাসের আক্রমণ। মারা যাচ্ছে ঘেরের মাছ, সেই সাথে থমকে যাচ্ছে হাজারো চাষির স্বপ্ন ।
বাগেরহাটের চিতলমারীতে চিংড়ি ঘেরে হঠাৎই ভাইরাসের হানা। আশঙ্কাজনক হারে মরে যাচ্ছে ঘেরের বাগদা চিংড়ি। এমন বিপর্যেয় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা। চিংড়ি মরার কারণ হিসাবে ‘হোয়াইট স্পট’ ও ‘রেড ভাইরাস’কে দায়ী করছেন স্থানীয় চিংড়ি চাষিরা।

উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, বিভিন্ন ঘের থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত চিংড়ি ও পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কী কারণে চিংড়ি মরে যাচ্ছে, তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় চিংড়ি চাষি বিশ্বজিৎ মন্ডল, শমীর হালদার, শেখর ভক্ত, মানিক মন্ডল, নিষিকান্ত অধিকারী জানান, তারা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা এনে চিংড়ি চাষে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে ভাইরাসে চিংড়ি মারা যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে চাষিরা, এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের ভরা মৌসুমে ঘেরে চিংড়ি মারা যাওয়ায় লোকশানের মুখে পড়ছেন তারা। উপজেলার কালশিরা, শ্রীরামপুর, রায়গ্রাম, খিলিগাতীর অধিকাংশ ঘেরের বাগদা চিংড়ি ভাইরাসে মারা গেছে বলে জানান স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদ উল্লাহ জানান, অধিকাংশ ঘেরে জৈব নিরাপত্তা বজায় না রাখা, অধিক বৃষ্টি ও পানিতে খনিজ লবণের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে মাছে ভাইরাস লাগতে পারে। এছাড়া চাষিরা ভাইরাস মুক্তকরণের যেসব পদ্ধতি আছে তা প্রয়োগ না করে গতানুগতিকভাবে ঘের প্রস্তুত করে চিংড়ি ছাড়া। চিংড়ি পোনা ছাড়ার আগে পোনা ভাইরাসমুক্ত কি না, সেটা পরীক্ষা করে পোনা ছাড়তে ও চিংড়ি চাষিদের ঘের প্রস্তুত এবং পোনা ছাড়ার সঠিক পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন