শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায্য দাম পাওয়ায় কার্পাস তুলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

কার্পাস তুলা চাষে লাভবান শেরপুরের কৃষকরা। এ অঞ্চলের অনেক চাষি কার্পাস তুলা চাষ করে খরচের থেকে তিনগুণ লাভবান হচ্ছেন। এতে করে তুলা চাষে অন্য এলাকার কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে পড়ছেন।

সরকারি সহযোগিতা থাকায় শেরপুরের নকলা উপজেলায় দিন দিন তুলা চাষির সংখ্যা ও তুলা চাষের জমির পরিমাণ বাড়ছে। অনুর্বর জমি ও কম পুঁজিতে ২০১৫ সালে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ উপজেলায় হাইব্রিড প্রজাতি রুপালি-১ কার্পাস তুলা চাষ শুরু হয়। উৎপাদিত তুলা শুরু থেকেই সরাসরি তুলা উন্নয়ন বোর্ড ন্যায্য দামে কিনে নেয়।

ওই বছর ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ বেড়ে যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেতে ওই বছর এসিট, জেসিট, আমেরিকান বোলওয়ার্ম, স্পটেট বোলওয়ার্ম ও আঁচা পোকার অক্রমণ দেখা দিয়েছিল।

সাব ইউনিট কর্মকর্তা তোফায়েল আলম জানান, নকলা উপজেলার মাটি তুলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাই এ উপজেলার সবকয়টি ইউপি এলাকায় তুলা চাষ করা সম্ভব।

জাংগীড়ার পাড়ের তুলা চাষি আরিফুজ্জামান রঞ্জু জানান, ছয় মাসের ওই ফসল জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সংগ্রহ করা যায়। বীজসহ বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১২ মণ, বীজ ব্যতীত ৫ থেকে ৬ মণ। যার মূল্য খোলা বাজারে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

কিন্তু সরকারি সহযোগিতা নেয়ায় তুলা উন্নয়ন বোর্ড বীজসহ প্রতি মণ ২ হাজার ১০০ টাকা দরে কিনে নেয়। ফলে বিঘাপ্রতি ২২ – ২৬ হাজার টাকা পাচ্ছেন কৃষকরা।

বিঘাপ্রতি সর্বমোট খরচ ১৩-১৬ হাজার টাকা। এরমধ্যে বিঘাপ্রতি ৬ হাজার টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। ফলে কৃষকের ব্যয় হচ্ছে বিঘাপ্রতি মাত্র ৭- ১০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কৃষকের বিঘাপ্রতি লাভ ১৫-১৬ হাজার টাকা। এমন জমিতে অন্য কোনো ফসল পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।

আরও পড়ুনঃ  রোগীদের জিম্মি করে হার্টের রিংয়ের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন