ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রফতানি আয়ে ধাক্কা

বাংলাদেশের রফতানি আয়ের  গুরুত্বপূর্ন  ক্ষাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও প্লাস্টিক খাত  । আর এ খাতগুলোসহ অন্যান্য আরো বড় বড় খাত গুলোতেও  রফতানি আয় কমেছে ।

যার প্রভাবে এ খাত গুলেতে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ষষ্ঠ মাস ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি কমেছে ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অন্যদিকে অর্জিত আয় হচ্ছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। কিন্তু আলোচিত সময়ে পাট এবং পাটজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে (জুলাই-ডিসেম্বর) পণ্য রফতানি আয়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয় দুই হাজার ২১২ কোটি মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে এক হাজার ৯৩০ কোটি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চাইতে ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম। একইসাথে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানির এ হার পাঁচ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান প্রায় ৮৩ শতাংশ। কিন্তু হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্যান্য উপখাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৫ শতাংশে দাঁড়াবে। তাই তৈরি পোশাকের রফতানি কমলে তার প্রভাব পড়ে পুরো রফতানি খাতে।

চলতি অর্থবছরের বড় খাতগুলোতেও রফতানি আয় কমেছে। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর শেষে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে। ডিসেম্বর শেষে কৃষিপণ্য রফতানিতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৫২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

প্লাস্টিক পণ্যে রফতানির প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ২২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ছয় মাসে এ খাতে আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

আলোচিত সময়ে চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধি কমেছে; অর্জন হয়নি কোন লক্ষ্যমাত্রাও। ছয় মাসে চামড়াজাত খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে ৪৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। আর যার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম। প্রবৃদ্ধিও কমেছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।

আলোচিত সময়ে পাট এবং পাটজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে। ডিসেম্বর শেষে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছে ৫১ কোটি ১৭ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পণ্য রফতানি করে চার হাজার ৫৩ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এর মাঝে পণ্য খাতে রফতানির লক্ষ্য সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন ও সার্ভিস সেক্টরে সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের রফতানি আয়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন