শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুতার দামে অস্বস্তি

সুতার দামে অস্বস্তি

 কমেছে তাঁত, হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য বিক্রি

  • হারাচ্ছে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা
  • কর্মকৌশলে অগ্রসরের প্রস্তাব উদ্যোক্তাদের

সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় কাপড় ও পোশাক তৈরির ব্যয় বেড়েছে তাঁত, হস্ত ও কারুশিল্পে। অন্যদিকে করোনা এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাবে কমেছে পণ্য বিক্রি। এমন অবস্থায় অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে বলে দাবি করছেন উদ্যেক্তারা। ঝুঁকিতে থাকা এসব ব্যবসা উদ্যোগকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের নীতি ও আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহবান তাদের। গত মঙ্গলবার এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন হ্যান্ডিক্র্যাফটস, হ্যান্ডলুম, কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, এথনিক অ্যান্ড ট্রাইবাল প্রোডাক্টস’র প্রথম সভায় এসব কথা উঠে আসে। যেখানে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে অর্থায়ন প্রাপ্তির বিষয়ে এফবিসিসিআই’র সহযোগিতা চাওয়া হয়।

সভায় কমিটির সদস্যরা, দেশে-বিদেশে কারুপণ্যের মেলা আয়োজনে রপ্তানি উন্নয় ব্যুরোকে (ইপিবি) আরো বেশি সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে নামমাত্র ফি পরিশোধের বিনিময়ে মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ চান নারী উদ্যোক্তারা।

বৈঠকে প্রধান অতিথি  এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দেশে-বিদেশে আয়োজিত মেলাগুলোতে কেবল পণ্য বিক্রির মানসিকতা নিয়ে গেলে হবে না। মেলার উদ্দেশ্য পণ্য বিক্রি নয়, সেখান থেকে ক্রয়াদেশ নিয়ে আসতে হবে। নিজেদের পণ্যের মান উন্নয়ন করতে হবে। জোর দিতে হবে পণ্য বৈচিত্রকরণ এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর।

তাঁত, হস্ত ও কারুশিল্পের সংকট নিরসনে উদ্যোক্তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব লিখিত আকারে জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বলেন, কি ধরণের চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটা উদ্যোক্তারাই ভালো বলতে পারবেন। আপনারা উদ্যোগী হয়ে সেগুলো লিখিত আকারে আমাদের দেন। আমরা বিষয় ভিত্তিক প্রতিকার চেয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সেগুলো তুলে ধরবো।

আরও পড়ুনঃ  এসএমই ঋণও ৯ শতাংশে চায় ঢাকা চেম্বার

কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ আলী হোসেন শিশির বলেন, সরকারের নীতিগত এবং আর্থিক সহায়তা পেলে এসএমই উদ্যোক্তারা বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। শিল্পের উন্নয়নে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে কারুশিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন কমিটির চেয়ারম্যান রাশেদুল করিম মুন্না। তাঁত, হস্ত ও কারুশিল্পের জন্য আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের কর্মকৌশল নির্ধারণ করে উদ্যোক্তাদের অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যাক্তাদের বিনিয়োগকে নিরাপদ ও টেকসই করতে জাতীয় হস্ত ও কারু শিল্প নীতিমালা ২০১৫ বাস্তবায়নের দাবি জানান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশ অব স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন। যেসব উদ্যোক্তা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিদেশে সরাসরি কারুপণ্য বিক্রি করেন, তাদের মূল্য প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে দেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর আহ্বান জানান বক্তারা। এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ হারুন, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. শাহিন আহমেদ, মামুনর রশিদ, বিপ্লব সাহাসহ অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন