ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগে আগ্রহী কসোভো

কসোভোর অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে যৌথ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কসোভো। বিনিয়োগের সুরক্ষা
  • কসোভো বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে: বাংলাদেশে

কসোভোর অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে যৌথ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কসোভো। বিনিয়োগের সুরক্ষা, ট্রেড বডিগুলোর মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর, জয়েন্ট কমিটি গঠন করে ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে বলে জানিয়েছেন কসোভোর উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতি।

বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত কসোভোর উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতি এর নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ক্রেশনিক আহমেতি বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পণ্যের শুল্কায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করলে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কসোভোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবাসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সৃষ্টির জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছে। এরমধ্যে অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। কসোভো এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, অফিসিয়াল এবং প্রাইভেট সেক্টরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল সফর বিনিময় করলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পণ্যের একটি বড় বাজার, পাশেই ভারত এবং চায়নার মতো বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন ব্যয় কম। বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বেশকিছু স্পেশাল সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট কিছু সেক্টরে এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

ইউএস গ্রিন কাউন্সিলের হিসাব মোতাবেক বিশ্বের ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেরই ৯টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশ মেডিকেল পণ্য এবং বিশ্বমানের ঔষধ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত ঔষধ বিশ্বের প্রায় ১৫২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও কসোভোর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুবই সামান্য। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ কসোভোয় মাত্র ০.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে কসোভো থেকে কোন পণ্য আমদানি হয়নি। এ সময় আগত প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন