চিনির কেজিতে ৬, পামওয়েলে ৮ টাকা
চিনির দাম প্রতি কেজিতে ৬ টাকা বেড়েছে। পাম অয়েল সুপার প্রতি লিটারে কমেছে ৮ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিকেল মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, নতুন দাম অনুযায়ী ৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৯০ টাকা, আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পামঅয়েল সুপার প্রতি লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ১৩৩ টাকা লিটারে বিক্রি হতো।
চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, কারণ আমরা আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ডলারে দাম ধরতাম না। বর্তমানে ১০৫ টাকা দরে ডলার ধরলে চিনির দাম বেশি হয়। সেজন্য কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আর সয়াবিন ইতোমধ্যেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে লিটারে ১৪ টাকা।
তিনি বলেন, আজকের (বৃহস্পতিবার) সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বেশি দামের যে তেল বাজারে আছে, সেটা আগের দামে বিক্রি করতে হবে। এখন যে তেল বাজারে যাবে, সেটা লিটারে ১৪ টাকা কম দামে বিক্রি হবে।
বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক মোছা. শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মিল গেটে পাম সুপার খোলা ১২০ টাকা লিটার, পরিবেশক পর্যায়ে ১২২ ও খুচরা পর্যায়ে ১২৫ টাকা বিক্রি করতে হবে। চিনি মিল গেটে খোলা ৮৫ টাকা কেজি, পরিবেশক পর্যায়ে ৮৭ ও খুচরা পর্যায়ে ৯০ টাকা বিক্রি করতে হবে। প্যাকেটজাত চিনি মিল গেটে ৯০ টাকা লিটার, পরিবেশক পর্যায়ে ৯২ ও খুচরা পর্যায়ে ৯৫টাকা বিক্রি করতে হবে।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর উপসচিব খন্দকার নুরুল হকের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে মিল গেটে পাম সুপার খোলা ১২৮ টাকা লিটার, পরিবেশক পর্যায়ে ১৩০ ও খুচরা পর্যায়ে ১৩৩ টাকা বিক্রি করতে হবে। চিনি মিল গেটে খোলা ৭৯ টাকা কেজি, পরিবেশক পর্যায়ে ৮১ ও খুচরা পর্যায়ে ৮৪ টাকা বিক্রি করতে হবে। প্যাকেটজাত চিনি মিল গেটে ৯০ টাকা লিটার, পরিবেশক পর্যায়ে ৯২ ও খুচরা পর্যায়ে ৯২ টাকা বিক্রি করার নির্দেশ দেয়া হয়, যা ২৫ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকরার কথা বলা হয়।