টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকায় প্রায় সারাবছরই করলার আবাদ হয়। চাহিদা বেশি থাকায় এবার ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে পোকার আক্রমণে ফলনে সমস্যা হচ্ছে। এসব করলা চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা গেলে করলার চাষে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবে বলে মনে করছেন তারা।
ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদজাহান বলেন, গত ২০-২১ অর্থবছরে ৩৫ হেক্টর এবং ২১-২২ অর্থবছরে পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ সহকারি অফিসাররা রয়েছেন। যেভাবে অল্প খরচে উৎপাদন বাড়ানো যায় আমরা সেই ধরনের কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করলার আবাদ হলেও পাহাড়ি এলাকা ঘাটাইল, সখীপুর ও মধুপুর অঞ্চলে করলার আবাদ বেশি এবং বাণিজ্যিকভিত্তিতে হয়। প্রতিকেজি করলা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। প্রচণ্ড গরমের কারণে করলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এবার লাভও বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব এলাকার করলা বিক্রির উদ্দেশে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই করলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চাষি মকবুল হোসেন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার করলা আবাদ ভালো হয়েছে। চলতি বছর করলার দামও অনেক বেশি। আমি ১০ শতাংশ জমিতে করলা আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ হাজার টাকা বেশি লাভ পেয়েছি। আরেক চাষি সফিক মিয়া বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে খেতে প্রচুর পরিমাণ করলা ধরছে। করলায় বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। যদি পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়, তাহলে আমরা আরও বেশি লাভবান হতে পারব। আবদুল হাকিম বলেন, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার করলা চাষ করেছি। প্রথম অবস্থাতেই আমার করলা ক্ষেতে অনেক করলা এসেছে। দামও ভালো পাচ্ছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, চলতি বছর করলার দাম বেশি থাকায় কৃষকরা করলা চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। তিতা জাতীয় ফসল আমাদের দেহের রক্তের জন্য খুবই উপকারি। এজন্য আমরা কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পাশে থেকে উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে করলা আবাদ বৃদ্ধি পায়। করলা আবাদে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কৃষকদের পাশে থেকে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।