শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনড় দর অধিকাংশ কোম্পানির 

অনড় দর অধিকাংশ কোম্পানির 

বেড়েছে সূচক, কমেছে লেনদেন

লেনদেন

  • ডিএসইতে ১৫শ কোটি, সিএসইতে ১০১ কোটি
  • সেরা ডিএসইতে বেক্সিমকো, সিএসইতে এনভয়

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল বুধবার সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। দুই স্টকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত। মানে ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ার দরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। লেনদেন পরিমাণ উভয় স্টকে কমেছে। লেনদেন ডিএসইতে ১ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে এবং সিএসইতে ১০১ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

লেনদেন প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, গতকাল ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এরপরও ক্রয়ের চাপ খুবই কম ছিলো। তবে বিক্রয়ের চাপে হিড়িক। অপরদিকে সিএসইতেও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। ক্রয়ের চাপ কম ছিলো। বিক্রয়ের চাপ বেশি ছিলো।

তারা আরো বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরেরদিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে। পরেরদিন লেনদেন আবারো কমে।

এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। এরপরে জোয়ার ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। তবে ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো। পরে ফের ভাটা পড়ে লেনদেনে। এ ধারায় গতকাল লেনদেন ১ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকার নেমে আসে। লেনদে কমলেও বেড়েছে সূচক।

আরও পড়ুনঃ  সন্ধ্যা ৬টার পর বের হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা

গতকাল বুধবার ডিএসইতে ১ হাজার ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৭১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রম ২ হাজার ৩২৩ দশমিক ১৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৪১৫ দশমিক ৪০ পয়েন্টে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭১টি এবং কমেছে ১১৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮৬টির। এদিন ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বেক্সিমকো ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ১৪৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকস ৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, সোনালী পেপার ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ৫৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ৫৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা, আইপিডিসি ৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, বিবিএস ৩৫ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন ২৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ১০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬০টি, কমেছে ৭৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ১০৯টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৬ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৮০ দশমিক ২০ পয়েন্টে।

আরও পড়ুনঃ  ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকা বিনিময় শুরু

সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৬২ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ২৩৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৫০ দশমিক ৫০ পয়েন্ট।

এদিন সিএসইতে এনভয় টেক্সটাইলসের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন এনভয় টেক্সটাইলস ২১ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে যমুনা ব্যাংক ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ব্যাংক এশিয়া ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, এনসিসি ব্যাংক ১০ কোটি ৪২ লাখ টাকা, বাটা সু ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক ৬ কোটি ২১ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং ওয়ার ব্যাংক ১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন