প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, “সশস্ত্র বাহিনী ও সেনাবাহিনী স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে চাই। তিনি জানান, আমরা সবসময় চাই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী হবে যুগোপযোগী, আধুনিক ও প্রযুক্তিগতভাবে সুসজ্জিত। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভাটিয়ারীস্থ বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্স সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০১৯’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, ‘আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই নতুর নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড ইউনিটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি।’
৭৭ তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্স শেষে প্রেসিডেন্ট কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ২৬৫ জন ক্যাডেট কমিশন র্যাঙ্ক লাভ করেছেন। এর মধ্যে ২৩৪ জন বাংলাদেশী, ২৯ জন সৌদি, ১ জন ফিলিস্তিনি এবং ১ জন শ্রীলংকান ক্যাডেট আছেন। বাংলাদেশী ক্যাডেটদের মধ্যে রয়েছেন ২০৭ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী।
ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার সাবির নেওয়াজ শাওন ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে সেরা চৌকষ ক্যাডেট হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে ‘সোর্ড অব অনার লাভ করেন। এছাড়া কোম্পানী সিনিয়র আন্ডার অফিসার মো.বরকত হোসেন সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাকে অভ্যর্থনা জানান।
আনন্দবাজার/শাহী