ডিএসইতে পরিবর্তন হয়নি ১৪০টির কোম্পানির শেয়ার দর
- বেড়েছে প্রধান সূচক
- লেনদেন সেরা বেক্সিমকো
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল মঙ্গলবার প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দুই স্টকের লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। ডিএসইর লেনদেন ১৫শ কোটি টাকায় ঘরের কাছাকাছিতে অবস্থান করেছে। সিএসইর লেনদেন ৩৫ কোটিতে এসেছে। এদিন ডিএসইর বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবতিত রয়েছে। মানে পরিবর্তন হয়নি ১৪০টির কোম্পানির শেয়ার দর। আর সিএসইর বেশির ভাগ দর বেড়েছে।
সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস গত ২৪ আগস্ট (বুধবার) পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের গত দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) ধরে উত্থানে রয়েছিল পুঁজিবাজার। ওই সময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরেরদিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে। এর পরেরদিন লেনদেন কমে। পরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। কমে ফের লেনদেন ১৩শ কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করেছিল।
গত বুধবার লেনদেন বেড়ে ২২শ কোটি টাকার ঘরে ছিল। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন ১৯শ কোটিতে নামে। লেনদেন কমে গত রবিবার ১৬শ কোটি টাকা এবং সোমবার ১৩শ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছিল। সেখান থেকে সামান্য বেড়ে গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন ১৫শ কোটি টাকার কাছাকাছিতে চলে এসেছে। এদিন ডিএসইর তিন ধরনের সূচকের মধ্যে দুইটির পতন হয়েছে। আর সিএসইর পাঁচ ধরনের সূচকের মধ্যে চারটির সূচক উত্থান হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৬০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। এছাড়া এদিন ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ১১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৫০ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ৪২৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১২৯টি এবং কমেছে ১০৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৪০টির। এদিন ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বেক্সিমকো ১৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ১২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৪৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকস ৪২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোল্ডসিম ৩৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিং ২৮ কোটি ৮ লাখ টাকা, শাহজিবাজার পাওয়ার ২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং ওরিয়ন ইনফিউশন ২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপরদিকে সিএসইতে গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ২ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার ২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১১১টি, কমেছে ৮৫টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৯২টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৪ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৩২ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। এছাড়া
সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২৯ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ২০ দশমিক ২৯ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪০৬ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৫২৮ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ২৩৮ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ২০ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৬০৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
এদিন সিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বেক্সিমকো ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মা ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোল্ডসিম ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৯৪ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ৯৪ রাখ টাকা, মেট্রো স্পিনিং ৯৩ লাখ টাকা, ইউনিক হোটেল ৭০ রাখ টাকা এবং ইস্টার্ন হাউজিং ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।