পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকায়। আমদানি বাড়ায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে এমন চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। গত বুধবার বন্দরে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৯ টাকা দরে। একদিন পরেই গতকাল বৃহস্পতিবার কেজিতে দুই টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৭ টাকা দরে। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু ভালোমানের পেঁয়াজ ১৯-২০ টাকা দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, সম্প্রতি দেশীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। যে কারণে দেশের বাজারে বেড়ে যায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা। চাহিদার যোগান দিকে আমদানি বাড়িয়ে দেন আমদানিকারকরা। তবে কিছুদিন হলো আবহাওয়া ভালো থাকায় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজেরও সরবরাহ বেড়েছে। দেশীয় পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায় উঠে গিয়েছিল। তা এখন হাজার টাকায় নেমে এসেছে।
এতে করে দেশের বিভিন্ন মোকামগুলোতে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমছে। ফলে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। এছাড়া ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আমদানিতে খরচ বাড়ে। এখন ডলারের দাম কিছুটা কমতে শুরু করায় পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়ছে।
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবদুল আলী বলেন, কয়েকদিন আগেই ২৪ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ নিয়েছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) ১৯ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনলাম। হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে, আবার বেচাবিক্রি বর্তমানে অনেক কম তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্য পণ্যটির দাম কমে গেছে। আমরা ১৭ টাকা কেজি দরে বস্তা বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি চলমান রয়েছে। বর্তমান চাহিদা তুলোনায় আমদানি বাড়ায় পেঁয়াজের দাম অনেক কমে গেছে।
বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। আগে বন্দর দিয়ে ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৫-৩০ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। গত বুধবার বন্দর দিয়ে একদিনেই ৪২ ট্রাকে এক হাজার ২৩৬টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আনন্দবাজার/শহক