ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ বেনাপোল কাস্টম হাউস

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছেনা দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম যোগান দিয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউস। সব মিলিয়ে এ অর্থবছরের শুরুর পাঁচ মাসে মাত্র ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা যোগান দিতে পেরেছে বেনাপোল কাস্টমস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৪২৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে এক হাজার ২৫২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এর আগেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা এবং তার আগের অর্থবছরে ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল বেনাপোল কাস্টমের।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহল জানায়, এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়। সেই হিসেবে এখানে পাঁচ হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু পণ্য আমদানির সময় স্থলবন্দরে নানা অনিয়ম চলার কারণে রাজস্ব আদায়ে ব্যাহত হচ্ছে। কখনো পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা আবার ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য এনে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়।

এছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দরে যে পণ্যের শুল্কায়ন চার ডলার ধরা হয় তা বেনাপোলে ধরা হয় সাড়ে চার ডলার। অন্যান্য বন্দরের তুলনায় বেনাপোলে সবচেয়ে বেশি শুল্কায়ন করা হয়। এ কারণে অনেক আমদানিকারক এ বন্দর দিয়ে আমদানি করছেন না। যার প্রভাব পড়ছে শুল্ক আদায়ে।

আরও পড়ুন: সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকুরির সুযোগ

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, পণ্যের চালান খালাসে আগের চেয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বেড়েছে। তবে শুল্ক ফাঁকি বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ করায় কিছু ব্যবসায়ী বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে শুল্ক বেশি আসে এমন পণ্যের চালান কম আমদানি হচ্ছে। এতে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে।

ইতোমধ্যে শুল্ক ফাঁকির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন