ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় উত্থান, লেনদেন ১৮শ কোটি টাকা

বড় উত্থান, লেনদেন ১৮শ কোটি টাকা

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার সব ধরনের সূচকের উত্থান হয়েছে। বেড়েছে দুই স্টকের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। এদিন ডিএসইর লেনদেন ১৮শত কোটি টাকার কাছাকাছিতে অবস্থান করেছে।

সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস গত বুধবার সব ধরনের পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা বলে বিবেচ্য হয়। পতনের পরদিনেই গতকাল বৃহস্পতিবার উত্থানে ঘুরে দাঁড়ালো পুঁজিবাজার। পতনের পরদিন উত্থানে ঘুরে দাঁড়ানোকে স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। 

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই (রবিবার) পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছিল। ওইদিন রবিবারের মতো পরেরদিন সোমবারে পুঁজিবাজার উত্থান ছিল। এরপরের তিন কার্যদিবস (মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার) উত্থান ধারা অব্যাহত ছিল। উত্থান কারনে স্বস্তিতে ছিলো বিনিয়োগকারীরা। সেই স্বস্তি পরের চার কার্যদিবসের মন্দায় পুঁজিবাজারের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। টানা পতনে ক্রেতার সংখ্যা বহুগুনে হারায়। এরপর গত ছয় কার্যদিবস উত্থানে ফিরে আসলো। উত্থানের পর গত বুধবার পতনে ফিরেছিল পুঁজিবাজার। সেই পতন থেকে গতকাল ফের উত্থানে ফিরেছে। 

আরও জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৬৪৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অবশ্য বৃহস্পতিবারের ডিএসইতে লেনদেন চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে বিবেচ্য। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। 

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৩৪টি এবং কমেছে ৫৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ৯১টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৪ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৫ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ৩৯০ দশমিক ৬১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ওরিয়ন ফার্মা ১০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফরচুন সুজ ১০৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোল্ডসিম ৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ৪০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, সামিট এয়ালেন্স পোর্ট ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিং ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা  ম্যাকসন স্পিনিং ২৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে সিএসইতে গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২০ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বুধবার ২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৬৬টি, কমেছে ৭০টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৭৬টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৩৯ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৪২ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৭ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৬৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৮৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং সিএসইআই সূচক ৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪২৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৭২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ১৯০ দশমিক ৫২ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ওরিয়ন ফার্মা ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, ফরচুন সুজ ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মা ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, প্যারামাউন্ট ৯৬ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মা ৮৬ লাখ টাকা, ৮৬ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ৮৩ লাখ টাকা, নাহি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন