ঢাকা | শুক্রবার
১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতাবানদের প্রভাবে ঋণ নবায়নে বাধ্য হচ্ছে ব্যাংক

ব্যাংকের ওপর খেলাপি ঋণ নবায়নের চাপ বাড়ছেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট ব্যতীত আবার কোন ক্ষেত্রে নামমাত্র ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ নবায়ন করা হচ্ছে। মূলত, প্রভাবশালীদের প্রভাবেই ঋণ নবায়নে বাধ্য হচ্ছে ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরের প্রান্তিক হিসাবের মাত্র তিন মাসে খেলাপি ঋণ নবায়ন হয়েছে দশ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ নবায়ন করেছে রাষ্ট্র খাতের জনতা ব্যাংক। নবায়নকৃত ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা। এদিকে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক (আইবিবিএল) ২ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংক ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা।

মোট নবায়নের অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা ঋণ নবায়ন করেছে এ তিন ব্যাংক। তবে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ নবায়ন তিনগুণ ছেড়ে যেতে পারে।

খেলাপি ঋণ নবায়নের নীতিমালা অনুযায়ী, কেউ প্রথমবার খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে চাইলে তাকে মোট খেলাপি ঋণের ১৫ শতাংশ অথবা মোট মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের ১০ শতাংশ এ দুইয়ের মধ্যে যেটি বেশি সেই পরিমাণ অর্থ এককালীন নগদে (ডাউন পেমেন্ট) পরিশোধ করে ঋণ পুনঃতফসিল করতে হবে। আবার দ্বিতীয়বার একই খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে চাইলে এককালীন ২০ শতাংশ এবং তৃতীয়বার নবায়ন করতে চাইলে এককালীন ৩০ শতাংশ পরিশোধ করার বিধান রয়েছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নীতিমালা কেউ অনুসরণ করেন না; বরং নামমাত্র ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ নবায়ন করতে হয়। আবার প্রভাবশালী হলে ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ঋণ নবায়ন করতে হয়। এভাবে ব্যাংকে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়ে চলছে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন